Posted on : 2020-04-16 05:47:17
News Source : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ০৯:০৯
লকডাউনের জেরে টানা ২১ দিন গাড়িতে থেকে সচেতনতার নজির গড়লেন ভারতের রাজকোটের দুই ব্যবসায়ী। ভারতে লকডাউন শুরুর আগে গুজরাটের সুপারির বাজারে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন ওই দুই ব্যবসায়ী। এরপর লকডাউন শুরু হয়ে গেলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এই আতঙ্কে গাড়িতেই থাকতে শুরু করেছেন দুজনে।
২১ দিন শেষ অপেক্ষা আরও ১৯ দিনের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, যে যেখানে আছেন সেখানেই থেকে যান। তাই গুজরাটের সুপারি বাজারে এসে কোথাও জায়গা না পেয়ে গাড়িতেই থাকতে শুরু করেছেন দক্ষিণা কানাড়া জেলার পুট্টুরের ওই দুই ব্যবসায়ী। গাড়িই ঘর, গাড়িতেই বিছানা, গাড়িতেই কাটছে দিনরাত। প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন স্থানীয় একটি রেস্তরাঁর শৌচাগার। কিন্তু এভাবে আর কতদিন থাকা সম্ভব?
সারাদিন গাড়িতে থাকলেও খাদ্যসামগ্রী ফুরিয়ে আসছে তাদের। এভাবে দিন কাটানো অসহনীয় হয়ে উঠছে তাদের জন্য। তাই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছেন, যেভাবে হোক তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
হুসেন জানান, স্থানীয় এক সমাজসেবী সংস্থার কর্ণধার কাসাফ সায়েদ, প্রতিদিন খাবার আর ওষুধপত্র দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এলাকায় কোনও হোটেল খুঁজে পায়নি। ফলে এতদিন গাড়ির ভিতরই ঘুমাচ্ছি। স্থানীয় এক হোটেলের শৌচালয় ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছি। অনেক মানুষের কাছেই সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছি, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যও কেউ এগিয়ে আসেনি। এখন শুধু প্রশাসনই ভরসা তারা অনুমতি দিলে বাড়ি ফিরতে পারব।
তাদের এই দুর্দশার খবর পেয়েই জেলার কমিশনার ভালসাদে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু থাকার জায়গাই নয়, বিনামূল্যে তারা যেন খাবার পান সেদিকেও নজর রাখার কথা জানিয়েছেন। তবে ভালসাদে এখনও পর্যন্ত করোনার প্রকোপ না পড়ায় কিছুটা নিশ্চিন্ত হতে পেরেছেন এই দুই ব্যবসায়ী।
জানা যায়, দুই ব্যবসায়ী আশিক হুসেন ও মোহম্মদ থাকিন ২০ মার্চ বাড়ি থেকে বেরি হয়েছিলেন। কিন্তু গুজরাটের সুপারি বাজারে পৌঁছনোর আগেই তাদের আটকে দেওয়া হয় ২১ মার্চ। এরপর লকডাউন জারি হলে তারা বাড়িও ফিরে আসতে পারেননি।