Thursday || March 28, 2024 Online Tech News Portal
img

নিজ এলাকার বাইরে শপিং নয়, লাগবে পরিচয়পত্র

Posted on : 2020-05-08 05:44:40

News Source : বাংলাদেশ জার্নাল, ০৮ মে ২০২০, ০৪:২৫

নিজ এলাকার বাইরে শপিং নয়, লাগবে পরিচয়পত্র

ঈদকে সামনে রেখে আগামী ১০ মে থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে এই সময়ে নিজ এলাকার কাছের মার্কেট অর্থাৎ বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটা করতে হবে।

|আরো খবর
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফের কঠোর নির্দেশনা
ঈদ বোনাস নিয়ে সুখবর পেলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
নারায়ণগঞ্জে আরও ৬ জনের করোনা
এলাকা নিশ্চিত করতে ক্রেতাদের সঙ্গে পরিচয়পত্র (যেমন: ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের মূল কপি ইত্যাদি) রাখতে হবে এবং তা প্রবেশমুখে দেখাতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখতে হলে প্রয়োজনীয় এমন ১৪টি নির্দেশনার কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার/ফেরিওয়ালা/অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া যাবে না।

২. করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ক্রেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে ঘোষিত সময়ের মধ্যে কেনা-কাটা করতে পারবেন। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা বা গমনাগমন করতে পারবেন না।

৩. বসবাসের এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্যেক ক্রেতা তার নিজ নিজ পরিচয়পত্র (যেমন- ব্যক্তিগত আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের মূল কপি ইত্যাদি) বহন করবেন এবং তা প্রবেশমুখে প্রদর্শন করবেন।

৪. প্রত্যেক শপিংমলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া, প্রত্যেক দোকানে আলাদাভাবে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৫. প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরা ছাড়া কোনো ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেন না। সব বিক্রেতা ও দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে।

৬. প্রতিটি শপিংমল/বিপণিবিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মৃত্যুঝুঁকি আছে’ সম্বলিত ব্যানার টাঙাতে হবে।

৭. প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশ, বের হওয়া ও কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে ১ মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে যতজন ক্রেতা অবস্থান করতে পারেন তার বেশি ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

৮. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে।

৯. শপিংমল গুলোতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের (হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য) গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

১০. কেনা-কাটা শেষে মার্কেটে অযথা জটলা বা ভিড় সৃষ্টি করা যাবে না। যাদের কেনাকাটা শেষ হয়ে যাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

১১. শপিংমলগুলোতে প্রবেশ ও বের হওয়ার আলাদা পথ নির্ধারণ করে দিতে হবে।

১২. যারা মাস্ক না পরে আসবে তারা মার্কেট থেকে কিনে নেবে অন্যথায় যাতে মার্কেটে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

১৩. প্রত্যেক শপিংমলের পার্কিং লটে গাড়ি জীবাণুমুক্তকরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়াও ড্রাইভাররা যাতে একত্রিত হয়ে আড্ডা না দেয় এবং নিজ নিজ গাড়িতে অবস্থান করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

১৪. শপিংমলগুলোতে যাতায়াতের জন্য সীমিত পরিসরে সাধারণ রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চালু থাকবে। তবে সিএনজিতে দু’জনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে নিরুৎসাহিত করা হলো। প্রতিজন যাত্রী এবং চালক মাস্ক পরবেন।

জাতীয়