Thursday || April 25, 2024 Online Tech News Portal
img
অর্থনীতি খবর
1053
ব্রিটিশ কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকি বিজিএমইএ–বিকেএমইএর
2020-05-23 05:29:02
আমাদের সময়, ২৩ মে ২০২০ ০৯:৩২ | আপডেট: ২৩ মে ২০২০ ০৯:৪০
তৈরি পোশাকের বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করলে যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ উলেন মিলস (ইডব্লিউএম) গ্রুপকে কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। করোনাভাইরাসের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ইডব্লিউএম বাংলাদেশের রিভার সাইড সোয়েটার, স্কাইলাইন অ্যাপারলেস, সাউর্দান ডিজাইনারস লিমিটেডসহ কয়েকটি কারখানার ১১ লাখ ৯৫ হাজার পিস পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়া পোশাকের রপ্তানি মূল্য ৮২ লাখ ডলারের বেশি। বাংলাদেশি পোশাক মালিকদের দুই সংগঠনের পক্ষে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক গত বৃহস্পতিবার ই-মেইল করে ইডব্লিউএম-এর প্রধান নির্বাহী ফিলিপ অ্যাডওয়ার্ড ডে'কে এই হুমকি দেন। এতে রুবানা হক লিখেছেন, ২৫ মার্চ পর্যন্ত ইডব্লিউএম ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশের বিপরীতে যেসব পণ্য তাদের মনোনীত ফ্রেইড ফরোয়ার্ডের মাধ্যমে জাহাজীকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে তার অর্থ ২৯ মে'র মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। তা ছাড়া ইতিমধ্যে যেসব ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ৫ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। বিষয়গুলো সুরাহা না হলে ইডব্লিউএমের কোনো নতুন ক্রয়াদেশের জন্য শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সনদ ইউটিলাইজেন ডিক্লারেশন বা ইউপি ইস্যু করবে না বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। ইডব্লিউএমকে বকেয়া অর্থ পরিশোধ ও নির্দেশনাগুলো মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে রুবানা হক ই-মেইলে লিখেন, নির্দেশনা অনুসরণ না করলে ইডব্লিউএম ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা ছাড়া বিকল্প উপায় থাকবে না। সেটি হলে ভবিষ্যতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্যদের সঙ্গে ইডব্লিউএম ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে। এই চিঠির অনুলিপি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিট্রিশ হাইকমিশনসহ সব ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডদের পাঠানো হবে বলেও জানান রুবানা হক। বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমরা কখনই ক্রেতাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে যেতে চাই না। ব্যবসার ক্ষেত্রে আমরা সবসময়ই কৌশলি। তবে আমাদের ব্যবসা হুমকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। সে জন্য ক্রেতাদের র‌্যাংকিং করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসা টেকসই করতে অনেক আলোচনা হলেও পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। অনেক ক্রেতা পোশাকের দাম না দিয়েও শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধের চাপ দেয়। এটি একেবারেই অন্যায্য। তাই ইতিবাচক পরিবর্তনের বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।' বিজিএমইএ জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের ১ হাজার ১৫০ কারখানার ৩১৮ কোটি ডলারের পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। তাতে প্রায় ২২ লাখ পোশাকশ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
875
বিসিক শিল্পনগরীতে দৈনিক ১৯০০ টন চাল উৎপাদন
2020-05-13 07:59:05
ইত্তেফাক, ১৫:১৭, ১২ মে, ২০২০
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) আওতাধীন শিল্পনগরীসমূহের চাল উৎপাদনকারী কারখানাগুলো উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে এসব শিল্পনগরীতে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ৯ শত মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সারাদেশে বিসিকের ৭৬টি শিল্পনগরীর ১৩টিতে চাল উৎপাদিত হচ্ছে।করোনা সংকটকালে দেশের অভ্যন্তরীণ চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাল উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিসিক শিল্পনগরী পাবনায় দৈনিক ৬শ’, রাজশাহীতে দৈনিক ৫শ’৫০, দিনাজপুরে ৪শ’, নওগাঁতে ১২০, খুলনাতে ১০৩, কুড়িগ্রামে ২৭, কক্সবাজারে ২৫, জামালপুরে ২৩, গাইবান্ধায় ২০, শেরপুরে ১৮, রাজবাড়ীতে ৯, গোপালগঞ্জে ৩ এবং বাগেরহাটে ২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হচ্ছে। পাবনা বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মোঃ কামাল পারভেজ জানান, সেখানে ৩৯টি রাইস মিল রয়েছে। এগুলোতে দৈনিক ৬শ’ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হচ্ছে , যার বাজার মূল্য দুই কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ টাকা। নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, বর্তমানে বোরো মৌসুমের ধান সংগ্রহ চলছে। ধান সংগ্রহ শেষ হলে চালকলগুলোতে উৎপাদন আরো বাড়বে। বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত চালকলগুলো থেকে সরকারও চাল ক্রয় করে থাকে। এ প্রসঙ্গে নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, নির্ধারিত মূল্যে নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী থেকে সরকার চাল সংগ্রহ করবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চালকলগুলোর মালিকপক্ষের সঙ্গে সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাসস
834
জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াবে টাকা ছাপার সিদ্ধান্ত
2020-05-12 14:45:09
বাংলাদেশ প্রতিদিন, মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নেওয়া কভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবিলায় চলতি সপ্তাহেই ২৫ হাজার কোটি টাকা বাজারে ছাড়া শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এটাকে নিয়মিত কর্মসূচি বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেননা প্রতি বছরই ঈদের আগে নতুন টাকা বাজারে ছাড়া হয়। গত বছর ঈদেও ছাড়া হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ মানি থেকে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে আরও ৩৮ হাজার কোটি টাকার জোগান দেবে। যা একেবারেই নতুন টাকা। এর বাইরে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে। যার প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকাই সরবরাহ করবে ব্যাংকগুলো। ফলে মানুষের হাতে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কভিড-১৯ এর প্রভাবে বিপর্যস্ত অর্থনীতি সামলাতে এ মুহূর্তে নতুন টাকা ছেপে বাজারে ছাড়লে মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এ মুুহূর্তে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না। মানুষের হাতে এখন টাকা নেই। এ ছাড়া যে টাকা ছাড়া হবে সেটা তো পর্যায়ক্রমে তিন বা চার বছরে আবার বাজার থেকে তুলেও নেওয়া হবে। ফলে মূল্যস্ফীতিতে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না নতুন টাকা বাজারে এলে। এ ছাড়া সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সফল বাস্তবায়ন করতে হলে ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিতে হবে। কেননা বর্তমানে ব্যাংক খাতে কিছুটা তারল্য সংকট রয়েছে। আবার কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ব্যাংকগুলোর ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে নতুন করে তেমন কোনো ডিপোজিটও আসছে না। ফলে ব্যাংকগুলোতে তারল্য বাড়াতে হলে শুধু সিআরআর ও এসএলআর বাড়িয়ে কাজ হবে না, এর পাশাপাশি নতুন টাকাও দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোর সিআরআর ও এসএলআর কমানো হয়েছে। এ মুহূর্তে ব্যাংকগুলোর কাছে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার মতো তারল্য রয়েছে। তবে বেশির ভাগই সরকারি বিল বন্ডে বিনিয়োগ করা আছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকগুলোর হাতে এ মুহূর্তে ঋণ দেওয়ার মতো ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ মুহূর্তে বোধহয় নতুন করে টাকা ছাপানোর প্রয়োজন হবে না। কেননা প্রতি বছর ঈদের আগে এমনিতেই কিছু না কিছু নতুন টাকা ছাড়া হয়। সেটা অনেক সময় রিজার্ভ মানি থেকেও দেওয়া হয়। তবে একেবারেই নতুন টাকা ছাপানোর আগে মনে হয় আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। যেমন বিল, বন্ড এগুলো সরকার কিনে নিতে পারে। সরকার নতুন করে বন্ড বা বিল ইস্যু করে বাজারে ছাড়তে পারে। আবার ব্যাংকগুলোর ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর) এবং স্টেটিউটরি লিকুইডিটি রেশিও (এসএলআর) আরও কমিয়ে দিতে পারে। এতেও খানিকটা সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে যদি এসবের কোনোটিতেই পরিস্থিতি সামলানো না যায় তাহলে তো টাকা ছাপাতেই হবে। এ মুহূর্তে অবশ্য মূল্যস্ফীতির চাপ বেশ সহনীয়ই রয়েছে। নতুন করে টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়া হলে সেই মূল্যস্ফীতির চাপ তো কিছুটা বাড়বেই। তবে সেটাকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে না পারলে আবার জীবনযাত্রার ব্যয়ের ওপর এর একটা প্রভাব পড়বে। এখন তো মানুষের হাতে এমনিতেই টাকার সরবরাহ কম। তাই আগে টাকার সরবরাহ বাড়াতে হবে বলে তিনি মনে করেন। এ প্রসঙ্গে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, মনে হয় টাকা ছাপানোর এখনো সময় আসেনি। আমরা এমন একটা অবস্থায় পড়েছি সরবরাহের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন রয়েছে, মানুষের চাহিদা নেই। এখন মানুষের হাতে টাকা দিলে, বাজারে যদি জিনিসপত্র না থাকে তাহলে মূল্যস্ফীতি হবে। টাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য বাড়ানোর বিভিন্ন পলিসি সাপোর্ট দিচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করছে। আমরা তাদের কাছ থেকে সাহায্য আনতে পারি। সুতরাং টাকা ছাপানোর আগে আমাদের অনেক চিন্তাভাবনা করতে হবে।
অর্থনীতি