Posted on : 2020-05-05 04:36:42
News Source : আমাদের সময়, ৫ মে ২০২০ ০০:০০ | আপডেট: ৫ মে ২০২০ ১০:১২
নানা আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে বোধোদয় হয়েছে দেশের ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া সরাসরি কোনো চিকিৎসাসামগ্রী অনাপত্তি ছাড়পত্র দেবে না। মহামারী করোনার সময় ডাক্তার ও নার্সদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণসহ (পিপিই) অন্যান্য পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতেই এ কড়াকড়ি আরোপ করেছে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।
চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইতোমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ল্যাব টেস্ট ছাড়া সরাসরি আর স্যাম্পল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে জমা দিতে পারবে না।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে গত ২৯ এপ্রিল এক নোটিশে বলা হয়, দেশে পিপিই (গাউন, মাস্ক) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ডব্লিওএইচও-পিএএইচও গাইডলাইন অনুযায়ী, মানসম্মত পিপিই উৎপাদনের জন্য ল্যাবরেটরিতে টেস্ট অত্যাবশ্যক। এমতাবস্থায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর উৎপাদিত পণ্যের প্রতিটি ধাঁচের মান নিয়ন্ত্রণ সনদ ও সার্ভিলেন্স কার্যক্রমের জন্য রাজধানীর তিনটি ল্যাবকে তালিকাভুক্ত করেছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেখান থেকে টেস্ট ও সার্ভিলেন্স করার সমঝোতা স্মারক করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কপি জমা দিতে হবে। সমঝোতা স্মারকের কপি পেলেই মিলবে অনাপত্তি সনদ।
সাম্প্রতিক সময়ে পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে জনমনে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল, তার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)। এন-৯৫ মাস্ক কেনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদ উল্লাহকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে প্রতিবেদন ও মন্তব্য করা হয়েছে, তাতে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
দৃঢ়ভাবে তিনি বলেন, ‘কোনো দেশীয় চিকিৎসাসামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ দেয়নি সিএমএসডি। কোভিড-১৯ সংক্রমণের আগে থেকেই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও কোয়ালিটি ছাড়পত্র অনুযায়ী বাংলাদেশি চিকিৎসাসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই গ্রুপ হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার ও সাধারণ মাস্ক সিএমএসডিকে সরবরাহ করে আসছে। এ ক্ষেত্রে আলাদা কোনো কার্যাদেশ তাদের দেওয়া হয়নি।’