Friday || April 26, 2024 Online Tech News Portal
img

ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা

Posted on : 2020-05-04 12:23:06

News Source : আমাদের সময়, ৪ মে ২০২০ ১৭:১৩ | আপডেট: ৪ মে ২০২০ ১৮:১০

ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা

আসন্ন ঈদুল ফিতরে সরকারি ছুটির সময় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।

সেইসঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করেছে সরকার। এই ছুটির সময় সবাইকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতেও বলা হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এবারের ঈদে যে যেখানে আছেন, সেখানে থেকেই ঈদ পালন করতে হবে। এই প্রজ্ঞাপন শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নয়, দেশের সকল মানুষের জন্য।’

ছুটির সময়ের নির্দেশনা-

১. এই ছুটির সময় জনসাধারণ ও সব ধরনের কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

২. জরুরি পরিষেবা যেমন-বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির বাইরে থাকবেন।

৩. সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্ডো ভ্যাসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

৪. কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের কাঁচামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট-কর্মীদের ক্ষেত্রে ছুটি প্রযোজ্য হবে না।

৫. চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম এবং কেবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীরা এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।

৬. ওষুধ শিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পসহ সকল কল-কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।

৭. স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রণীত বিভিন্ন কলকারখানায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

৮. পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সমযে শিল্পকারখানা, কৃষি ও উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।

৯. সাধারণ ছুটিকালীন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না।

১০. রমজান, ঈদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

১১. সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসগুলো প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে। সেইসঙ্গে তারা তাদের অধিক্ষেত্রের কার্যাবলী পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে।

১২. ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না।

জাতীয়