Thursday || March 28, 2024 Online Tech News Portal
img

সাভারে আক্রান্তদের অর্ধেকই তৈরি পোশাক শ্রমিক

Posted on : 2020-05-06 05:02:39

News Source : আমাদের সময়, ৬ মে ২০২০ ১০:২৮ | আপডেট: ৬ মে ২০২০ ১০:২৮

সাভারে আক্রান্তদের অর্ধেকই তৈরি পোশাক শ্রমিক

সাভারে নতুন করে আরও আট তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই তৈরি পোশাক শ্রমিক। এ কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে আজ বুধবার আবারও জরুরি বৈঠকে বসবে উপজেলা প্রশাসন।

প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ায় শ্রমিকদের আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা।

তিনি জানান, উপজেলায় সর্বমোট ৬১৭টি নমুনা পরীক্ষার পর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ৪৪ জনের। এদের মধ্যে ২০ জনই বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক, একজন চিকিৎসক, একজন এমএলএসএস, একজন ইন্টার্ন ম্যাটস, একজন জেলে, একজন সবজি বিক্রেতা, একজন মুদি দোকানদার। আর অবশিষ্টরা হলেন- খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণ।

আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন বলেও জানান উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা।

এদিকে, তৈরি পোশাক শ্রমিকদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাভার ও শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার সকল তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে উর্ধ্বতন পর্যায় থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে পুনরায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।

প্রশাসনের একটি সূত্র জানান, বেশ কয়েকটি বড় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এখন কারখানা লকডাউন করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি এড়িয়ে কি করে কারখানার উৎপাদন পরিবেশ বজায় রাখা যায় সেই ভাবনা নিয়ে বর্তমানে আলোচনা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা জানান, তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা সঠিকভাবে মেনে না চলায় আক্রান্ত কর্মীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যে কারণে সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে কারখানার অন্য শ্রমিকরা।

জাতীয়