Friday || April 19, 2024 Online Tech News Portal
img

বিএসএমএমইউকে আজ কিট দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

Posted on : 2020-05-11 04:39:02

News Source : আমাদের সময়, ১১ মে ২০২০ ০০:০০ | আপডেট: ১১ মে ২০২০ ০৭:৫৮

বিএসএমএমইউকে আজ কিট দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস নির্ণায়ক ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য সংস্থাটির কাছে গতকাল রবিবার কিট চেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিঠি দিয়েছে। আজ সোমবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউ’র কাছ কিট হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, ‘বিএসএমএমইউ থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সোমবার থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী কিট সরবরাহ করা হবে এবং তারা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করবে। গত ৩০ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য অনুরোধ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)কে চিঠি দেয়।

এ বিষয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে ১২ দিন চলে গেছে। এসব বিষয় নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না। কিছু বললেই তারা আবার বলবে যে, আমি আইন মানি না।

যদি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দলের সমন্বয়ক ড. মুহিব উল্লাহ খন্দকার বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাব কাজ চলছে। কাজের এই গতিকে ধীর বলে অভিযোগ করেছেন জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, নিজস্ব ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ এবং বর্তমানের জটিল পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সম্পূর্ণ বিনা খরচে রোগীর করোনা পরীক্ষা করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আমাদের উদ্ভাবিত কিটের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করছি, বিষয়টা এমন নয়। এটি বললে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। থার্ড পার্টি ভেলিডেশন ছাড়া আমরা তা করতে পারি না। এজন্য বিএসএমএমইউ দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারাই কাজটি করবে এবং করছে।আমরা দেখলাম যে, কিডনির সমস্যা নিয়ে গতকাল একজন অতিরিক্ত সচিব বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলেন। এমন অনেক কিডনি রোগী আছেন যারা ডায়ালাইসিস করাতে পারছেন না। হার্টের রোগী আছেন,তাদের চিকিৎসা হচ্ছে না এবং এমন আরও রোগী আছেন। তাই আমরা ভাবলাম,সেক্ষেত্রে আমরা তো তাদের করোনা পরীক্ষা করে দিতে পারি।

ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, বয়স্ক যেসব রোগী কোথাও করোনা পরীক্ষা করাতে পারছেন না, অথবা করোনা পরীক্ষায় যাদের একটিতে পজিটিভ ও আরেকটি নেগেটিভ এসেছে, এখন তৃতীয় পরীক্ষা কোথাও করাতে না পেরে চিকিৎসা করতে পারছেন না, তাদের আমরা পরীক্ষা করব। এতে কোনো খরচ লাগবে না। তবে, আমি আবারও বলছি যে, এটা অ্যাপ্রুভড টেস্ট না। বিএসএমএমইউ না বলা পর্যন্ত আমরা রোগীদের সে নিশ্চয়তা দেব না। শুধু আমাদের নিজস্ব ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবেই কাজটি করবো।

বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ বলেন, প্রথমবার পরীক্ষায় অনেকেরই করোনা পজিটিভ এসেছে এবং তারা চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন তারা সুস্থ কিংবা করোনামুক্ত কী না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করেও দ্বিতীয় বা তৃতীয় পরীক্ষা করাতে পারছেন না। অনেকের নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয়, কিন্তু করোনা পরীক্ষা না করানোর কারণে তারা সেটি করতে পারছেন না। সেসব রোগীদের সাহায্যের জন্যই মূলত আমাদের এ উদ্যোগ। আমাদের পরীক্ষায় যাদের ফল নেগেটিভ আসবে, তারা চাইলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে পজিটিভ রোগীদের আমরা বিশেষায়িত করোনা হাসপাতালগুলোতে পাঠিয়ে দেব।

তিনি বলেন, ‘কিট অ্যাপ্রুভড হওয়ার পর রোগীদের পরীক্ষার জন্য আমাদের বিভিন্ন স্থানে বুথ বসানো লাগতে পারে। সেজন্য কী কী করতে হবে এবং আমরা কী ধরনের সমস্যায় পরতে পারি, তা জানতে একদিনের জন্যই আমরা সর্বোচ্চ ২০০ জন করোনা রোগীর রক্ত নেব পরীক্ষার জন্য। গতকাল রবিবার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এটাও আরো কয়েকদিন পর করবো।

জাতীয়