Saturday || April 20, 2024 Online Tech News Portal
img
রাজনীতি খবর
884
সাধারণ ছুটি শিথিল করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : কাদের
2020-05-13 08:36:07
আমাদের সময়, ১৩ মে ২০২০ ১৩:৪৬ | আপডেট: ১৩ মে ২০২০ ১৩:৪৮
মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষের জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ ছুটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ছুটি শিথিল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা মনে করছেন এ সিদ্ধান্ত ভুল, তাদেরকে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে চেয়ে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করা হলো।’ ত্রাণ বিতরণ নিয়ে একটি মতলবি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও ব্রিফিংয়ে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী। একই সঙ্গে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ পর্যন্ত সরকার ৪ কোটি মানুষের মাঝে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। ৬৪টি জেলায় প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে এবং ১ কোটি মানুষকে রেশনের আওতায় আনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের যেকোনো দুর্যোগে আর্ত মানবতায় সবার আগেই মানবিক সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুর্যোগকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। ডেঙ্গু প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারির এ সময় মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে। এ সময় এডিস থেকে মুক্তি পেতে সামাজিক সচেতনতা জরুরি বলে জানান তিনি।
853
মির্জা ফখরুলকে ডেকে একান্তে কথা বললেন খালেদা জিয়া
2020-05-13 05:06:17
ইত্তেফাক, ০৩:২৪, ১৩ মে, ২০২০
কারামুক্তির পর দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে গুলশানের বাসভবনে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মুক্ত পরিবেশে থাকায় তার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এ যাবৎ বাসায় কোনো নেতাকে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন না তিনি। তবে মুক্তির ৪৮ দিন পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বাসায় ডেকে নিয়ে কথা বলেছেন খালেদা জিয়া। গতকাল রাত ৯টার পর গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসা ‘ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোয়া একঘণ্টা ধরে বিএনপির শীর্ষ এ দুই নেতা একান্তে আলাপ আলোচনা করেন। পরে বিএনপি মহাসচিব বেরিয়ে নিজের গাড়িতে করে বাসায় চলে যান। খালেদার জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি মির্জা ফখরুল। চেয়ারপারসনের সঙ্গে মহাসচিবের সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে দলের একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, চেয়ারপারসন ডেকেছিলেন মহাসচিবকে। তিনি দেখা করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ৬ মাস সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। মুক্তির পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে থেকে গুলশানের ভাড়া বাসায় ওঠেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসাতেই আছেন। ফিরোজার ফটকের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, বাসায় লোকজনের প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। শুধু চিকিৎসক টিমের সদস্য এবং কয়েক জন নিকটাত্মীয়ের প্রবেশাধিকার রয়েছে। একটি সূত্র জানায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দলের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে খোঁজখবর নেন খালেদা জিয়া। ফখরুল বিএনপির নেওয়া দলের ত্রাণ তৎপরতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে অবহিত করেন তাকে।
806
লকডাউন শিথিল করে সরকার ভুল পথে হাঁটছে : রিজভী
2020-05-12 08:17:28
বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১২ মে, ২০২০ ১৩:১৭
করোনার ভয়াবহতার মধ্যে লকডাউন শিথিল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভুল পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী লকডাউন শিথিল করে মানুষের আক্রান্ত সংখ্যা বৃদ্ধি এবং মৃত্যুর মিছিলকে দীর্ঘায়িত করছেন। আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারাবো পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব নাসিরুদ্দিনের উদ্যোগে বরপা এলাকায় ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আজকে দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে লকডাউন শিথিল করছেন। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী আপনি ভুল পথে হাঁটছেন। লকডাউন শিথিল করায় জার্মান ইংল্যান্ডের মত দেশের করোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার হঠাৎ লকডাউন শিথিলের কথা বলছেন। এখন প্রতিদিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন রাস্তাঘাট, নদীর ধারে, হাটে বাজারে মানুষ মরে পড়ে থাকে। এই সরকারের কোন ধরনের মানুষের প্রতি মায়া মহব্বত নেই। থাকবে কেন উনার তো ভোট দরকার পড়ে না। রাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভোট করে দেয়। তিনি বলেন, গোটা পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর অনুগত লোকেরা বসে আছেন। উনি যেটা বলে সেটাতেই সবাই হাতে তালি দেয়। এই পার্লামেন্টে জনগণের সমর্থন নেই। যে পার্লামেন্টে জনগণের সমর্থন থাকে না সেই সরকার ফ্যাসিজম এবং স্বৈরাচারী দিয়ে দেশ চালাবে। সেখানে দেশের মানুষ মরলো কি বাঁচলো তাতে তাদের ভ্রুক্ষেপ নাই। লকডাউন শিথিল করলে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো মাথার মধ্যে নেন না। নিতেও চান না। এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। ত্রাণ বিতরণের সময় রিজভী বলেন, সরকারি ত্রাণ জনগণ পায় না। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও দলীয় নেতাকর্মীরা আত্মসাৎ করছে চুরি করছে জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ। জনগণকে বাঁচাতে হলে তাদের নিরাপত্তা দিতে হলে যারা দিন আনে দিন খায় অসহায় গরীব মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে এই কাজটি করতে পারতো। সরকার তা না করে লকডাউন শিথিল করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষকে বাঁচানো নিয়ে এই সরকারের কিছুই করার নেই। তারা শুধু মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, নার্সরা মারা যাচ্ছেন। তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। তারা বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত পাচ্ছেন না। যে বাড়িতে থাকেন তার মালিক তাদের চলে যেতে বলেন। সরকারের উচিত ছিল ডাক্তারদের পাঁচতারকা হোটেলে রেখে কাজ করনো। কিন্তু সরকার সেটা করছো না। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা সরকারি ত্রাণ দিতে আসিনি। কঠিন দুযোগেও সরকার তাদের বৈশিষ্ট্য থেকে ন্যূনতম সরে আসেনি। তারা কোন কিছুই সামাল দিতে পারেনি। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার অধিক লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিন আক্রান্ত সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার আগাম প্রস্তুতি নিলে এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। জানুয়ারি মাসে যখন চীনে করোনা মহামারী দেখা দিল তখন বাংলাদেশের যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল তার সরকার নেয়নি। তারা তাদের একটি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিল। সরকার যদি লকডাউন করে ব্যবস্থা নিয়ে গরীব মানুষকে সহায়তা দিয়ে ঘরেবন্দি করে রাখতো তাহলে আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। সরকার করোনা মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
রাজনীতি