Saturday || April 27, 2024 Online Tech News Portal
img
সাহিত্য খবর
1082
বিয়ে করতে ৮০ কিমি পথ হেঁটে বরের বাড়ি গেলেন তরুণী
2020-05-24 05:33:33
আমাদের সময়, ২৩ মে ২০২০ ২২:৫৪ | আপডেট: ২৩ মে ২০২০ ২৩:০২
করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতে লকডাউনের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পাত্রের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন এক তরুণী। গত বুধবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে কনৌজ গিয়ে বিয়ে করেন গোলদি (২০) নামে ওই তরুণী। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ মে তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারিত ছিল। তবে লকডাউনের কারণে বিয়ে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বেশ চিন্তায় পড়ে যান ওই যুগল। বাগদত্তা ভিরেন্দ্র কুমারের সঙ্গে (২৩) ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন ওই তরুণী। এক পর্যায়ে পায়ে হেঁটে গিয়ে হবু বরের বাড়িতে পৌঁছে যান গোলদি। পরে বরপক্ষ একটি পুরোনো মন্দিরে তাদের বিয়ের আয়োজন করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ওই দম্পতির বিয়ের ছবি। এতে দেখা গেছে, লাল শাড়ি পরেছেন কনে আর বর পরেছেন সাদা শার্ট। মুখে ছিল তাদের মাস্ক। বিয়েতে স্থানীয় একজন সমাজকর্মীও উপস্থিত ছিলেন। এনডিটিভি জানায়, গত দু’মাসে করোনা সংক্রমণের মোকাবিলা করতে দেশব্যাপী লকডাউন জারি হওয়ার ফলে বহু বিয়ে ভেস্তে গেছে। শহরের বহু পাত্র-পাত্রী ‘জুম’-এর মতো ভিডিও অ্যাপের সাহায্যে ‘ভার্চুয়ালি’ বিয়ে সেরেছেন। আত্মীয়স্বজনরা ওই অ্যাপের মাধ্যমেই বিয়ের সাক্ষী থাকেন। এদিকে ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ ২০ হাজারের।
1075
রমজানে ৫০০ মুসলিমকে খাওয়াচ্ছে যে মন্দির
2020-05-24 05:20:32
ইত্তেফাক, ১০:১২, ২৪ মে, ২০২০
পবিত্র রমজানে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কর্মীরা। দেশটির জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা অন্তত ৫০০ জনের জন্য সকাল-সন্ধ্যায় সেহরি এবং ইফতারির ব্যবস্থা করছেন তারা। ওই মন্দিরের বোর্ড সিইও রমেশ কুমার জানান, আশীর্বাদ ভবন নামে কাটরার ওই সেন্টারটিতে অন্তত পাঁচশো জনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি বলেন, রমজান মাসে ওই পরিযায়ী শ্রমিকেরা উপবাসে থাকতে শুরু করেন। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে তাদের প্রতি দিনের সেহরি ও ইফতারির ব্যবস্থা করব আমরা। রমেশ কুমারের কথায়, আমাদের মুসলিম ভাইদের জন্য সেহরি-ইফতারি তৈরি করতে দিনরাত খেটে চলেছে বৈষ্ণোদেবী বোর্ড। দেশটির সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লকডাউনের মাঝে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ও বাসে করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে শুরু করে। কাটরা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে উধমপুরে এসে নামার পর তাদের রাখা হয় আশীর্বাদ ভবনে। করোনা-সংক্রমণের আবহে গত মার্চ থেকেই আশীর্বাদ ভবনকে কোয়রান্টিনে পরিবর্তিত করেছিলেন বৈষ্ণোদেবী মন্দির কর্তৃপক্ষ। ভিন্ রাজ্য থেকে উধমপুরে আসার পর কাটরার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের। জানা যায়, শুধুমাত্র আশীর্বাদ ভবনেই নয়, কাটরার অন্যান্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বাসিন্দাদের জন্যও সকাল, দুপুর, রাতের খাবারের বন্দোবস্ত করছেন বৈষ্ণোদেবী মন্দির কর্তৃপক্ষ। মার্চ মাস থেকে চলছে সেই কাজ। এ জন্য এখনও পর্যন্ত ৮০ লক্ষ রুপি ব্যয় করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় তারা ব্যয় করেছেন দেড় কোটি রুপি। আনন্দবাজার।
1066
বাদুড় থেকে ছড়ানো অজানা ভাইরাসে ঘোড়ার মৃত্যু
2020-05-24 05:03:37
বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৪ মে, ২০২০ ০১:৪০
সম্প্রতি বাদুড় থেকে ছড়ানো অজানা ভাইরাসে ঘোড়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১০০ মাইল দূরে অবস্থিত একটি খামারে হঠাৎ করেই কিছু ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, যখন ৯ দিনে ১৮টি ঘোড়ার মৃত্যু তখন খামারের মালিক ভেবেছিল, করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে। মৃত ঘোড়াগুলোর পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তাদের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মেলেনি। এক অজানা ভাইরাসের হানায় মারা গিয়েছে ঘোড়াগুলো। পরীক্ষায় ধরা পড়ে এক অজানা ভাইরাসের অস্তিত্ব। একে তো করোনা মহামারি চলছে বিশ্বে। তার মধ্যে নতুন এই ভাইরাসের হানা চিন্তা বাড়িয়েছে থাইল্যান্ডে। আর এবারও এই অজানা ভাইরাসের উৎস বাদুড় বলে মনে করা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ জানিয়েছে, চিন থেকে আসা একটি জেব্রা থেকে এই অজানা ভাইরাস থাইল্যান্ডে ছড়িয়েছে। থাইল্যান্ডের ওই খামারের মালিক নোপাদল সারোপালা জানিয়েছে, ঘোড়াগুলো হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছিল। পরে পরীক্ষা করে জানা যায়, কোনো এক অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ঘোড়াগুলো। এদিকে, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ব্রিটেনে বহু ঘোড়া অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে ৫০০ এর বেশি ঘোড়া মারা গিয়েছে সেখানে। আফ্রিকার ঘোড়াদের অসুখের সঙ্গে এই ঘোড়াগুলোর উপসর্গের মিল রয়েছে। আফ্রিকার ঘোড়া ও জেব্রার মধ্যে সাধারণত এই একই রোগ হয়। কয়েক যুগ ধরে আফ্রিকাতে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বহু ঘোড়া মারা গিয়েছে। তবে এতদিন সেই রোগ আফ্রিকার বাইরে ছড়ায়নি বলে জানা যায়।
সাহিত্য