Posted on : 2020-05-03 05:53:46
News Source : যুগান্তর, ০৩ মে ২০২০, ১১:০৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভারতজুড়ে করোনার আবহে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপালের মধ্যে দ্বন্দ্ব আবার চরমে উঠেছে।
গত মাসেই চিঠি চালাচালির মাধ্যমে বেশ উত্তপ্ত হয়েছিল পশ্চিবঙ্গের রাজনীতি। সেই রেশ না কাটতেই করোনা নিয়ে আবার মুখোমুখি হয়েছেন তারা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ২৩ এপ্রিল ১৪ পাতার যে দু’টি চিঠি রাজ্যপাল পাঠিয়েছিলেন, শনিবার ১৩ পাতার পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে তার জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে রাজ্যপালকে তার ‘সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কথা বারবার মনে করানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।
সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের পাঠানো চিঠির ভাষা প্রয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে বলেছেন, রাজ্যপাল যে ভাষায় আমাকে এবং আমার মন্ত্রীদের সমালোচনা করেছেন তা নজিরবিহীন। রাজ্যপালের ভাষা প্রয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ জানালাম। সেই চিঠি পেয়ে আমার রাগের চেয়ে কষ্ট বেশি হয়েছে।
তিনি আরও লিখেছেন, রাজ্যপালের এই ভাষা ব্যবহার একেবারেই কাম্য নয়, রাজ্যপালের কাছে সহযোগিতা কামনা করি। এই ভাষা অন্যান্য মন্ত্রীর কাছেও যে অপমানজনক তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই পাল্টা চিঠি রাজভবনে পৌঁছানো মাত্রই টুইট করে তাকে পাল্টা উত্তর দিয়েছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির কোনো সারবত্তা নেই বলেই মত ধনখড়ের।
অথচ টুইটে রাজ্যপাল কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই লিখেছেন, সংঘাতের সময় নয়; এটি হাতে হাত ধরেই পরিস্থিতি মোকাবেলার সময়।
কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের দ্বন্দ্ব রীতিমতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে দাঁড়িয়েছিল। কিছু দিন ভাটা পড়ার পর করোনার কারণে আবার সেই দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিয়েছে।
পরিস্থিতি এত গুরুতর হয়েছে যে, চিঠি চালাচালির মাধ্যমে দুজন-দুজনকে চরম অপমান করতেও ছাড়ছেন না।
গত মাসের শেষ দিক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মধ্যে পত্রযুদ্ধ শুরু হয়। সরকারি কাজে নাক গলানো নিয়ে প্রথমে রাজ্যপালকে পাঁচ পাতার কড়া চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী।
ধনখড়ের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক শিষ্টতার গণ্ডি ছাড়ানোর পাশাপাশি, তার সরকারের মন্ত্রী-আমলাদের আক্রমণ এবং রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
২৩ ও ২৪ এপ্রিল পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে ২ ও ১৪ পাতার দু’টি চিঠি লেখেন রাজ্যপাল। তার পর থেকে টুইটারেও লাগাতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করে আসছিলেন তিনি। এর মধ্যেই তাকে এ পাল্টা চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।