Posted on : 2020-05-21 07:54:47
News Source : আমাদের সময়, ২১ মে ২০২০ ০০:২৫ | আপডেট: ২১ মে ২০২০ ১১:৫৬
মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আম্পান পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুটি জেলা; উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে তছনছ করে দিয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আঘাত হাতে আম্পান। এর তিন ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান ঝড়ের তাণ্ডবে জেলা দুটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা।
তার সরকারি দপ্তর নবান্নে সাংবাদিকদের আজ রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘দুই ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গেছে, বাড়িঘর, নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে, ক্ষেত ভেসে গেছে।’ তখন পর্যন্ত আম্পানের তাণ্ডবে ১০/১২ জন মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘নন্দীগ্রাম, রামনগর প্রভৃতি এলাকায় বড় ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা প্রায় ধ্বংস ঝড়ের দাপটে। গাছ পড়ে মানুষ মারা গেছে। মোট ক্ষতি এখনও গণনা করা যায়নি। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর সব জায়গায় ধ্বংসের ছবি। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।’
সারাদিনই তিনি খোঁজ রাখছিলেন ঘূর্ণিঝড়ের। মুখ্যমন্ত্রী ২৪ পরগনাসহ কয়েকটি জায়গার নাম উল্লেখ করে ক্ষয়ক্ষতির কথা জানান। তবে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত সবিস্তার তথ্য পেতে ৩-৪দিন লেগে যাবে বলেও মন্তব্য করেন।
একদিনের মধ্যেই ৫ লাখ মানুষকে সরানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এলাকার পর এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সাহায্যে ৫ লাখ মানুষকে সরাতে পেরেছি। ১৭৩৭ এ এমন ভয়ংকর ঝড় হয়েছিল। ওয়ার রুমে বসে আছি আমি। নবান্নে আমার অফিস কাঁপছে। একটা কঠিন পরিস্থিতির যুদ্ধকালীন মোকাবিলা করলাম। মাঝরাত অবধি হয়তো ঝড় ঝঞ্ঝা চলবে।’