Posted on : 2020-05-21 07:03:39
News Source : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২১ মে, ২০২০ ০৩:০৩
সাপ, ব্যাঙ, বিষাক্ত পোকামাকড়, বাদুড় কিছুই বাদ দেয় না চীনারা। বন্যপ্রাণীদের খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করার অভ্যাস চীনে বহু পুরনো। আর সেই জন্য চীনকে খেসারতও দিতে হয়েছে বারবার।
সার্স থেকে করোনভাইরাস, বারবার চীনকে ছারখার করেছে। তবুও চীনাদের শিক্ষা হয়নি। বন্যপ্রাণীদের খাবার হিসাবে গ্রহণ করার প্রবণতা যেমন ছিল তেমনই আছে। আর সেই জন্য এবার চীনের সরকার কোমর বেঁধে নেমেছে।
চলতি মাসের শুরুতেই খাদ্য হিসেবে বন্যপ্রাণী বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে চীন সরকার। আর এবার করোনার মতো মারাত্মক ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য আরও এক ধাপ এগিয়ে পরিকল্পনা করেছে চিন প্রশাসন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাস। তারপর সেই ভাইরাস সারা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত। চীন সরকার বিষাক্ত বন্যপ্রাণী প্রজনন বন্ধ করতে চাইছে। আর তাই প্রজননকারী ফার্মের মালিকদের নগদ অর্থ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে চীনের সরকার।
বিষাক্ত বন্যপ্রাণীর প্রজনন বন্ধ করলে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে ফার্মের মালিকদের। চীনের প্রাণী অধিকার সংরক্ষণ কর্মীরা জানিয়েছেন, এর আগে কখনও বন্যপ্রাণী প্রজনন বন্ধ করতে এমন পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। এর মধ্যে হুনান প্রদেশে অনেক ফার্মের মা্লিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণী প্রজননে বদলে চা চাষ ও হার্বাল ওষুধ তৈরিতে উৎসাহিত করছে সরকার।
হুনান প্রদেশে প্রজননকারী ফার্মের মালিকদের প্রতি কেজি কোবরা, র্যাটেল স্নেক, র্যাট স্নেকের জন্য ১২০ ইউয়ান (১৩৬০ টাকা) ও প্রতি কেজি বাঁদুরের জন্য ৭৫ ইউয়ান (৯০০ টাকা) ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এর আগে সার্সভাইরাস ছড়িয়েছিল খাটাশের মাধ্যমে। সেই খাটাশের প্রজনন বন্ধ রাখলে দেওয়া হচ্ছে ৮০০ ইউয়ান (প্রায় ১০ হাজার টাকা)।
প্রজনন করা সব প্রাণী মাটিচাপা দিতে বলা হয়েছে। এবং উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। হুনান ও জিয়াং চিনের এই দুই প্রদেশ বন্যপ্রাণী প্রজননের জন্য বিখ্যাত।