Posted on : 2020-05-09 06:10:49
News Source : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৯ মে, ২০২০ ১২:০১
প্রাণঘাতী করোনভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছে বিশ্ববাসী। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকার অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। দেশটিতে ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ১৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৮ হাজার ৬১৬ জনের।
শুধু আমেরিকা নয়, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে এই ভাইরাসের ধ্বংসযজ্ঞে।
বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৫১ জনের।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাস এতটাই ভয়ঙ্কর যে, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত এর কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেননি। কার্যত এর কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকায় এই ভাইরাসে এত ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
অবশ্য, অনেকে সুস্থও হয়ে উঠছেন বহুরূপী এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ থেকে। তবে এটি হচ্ছে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৩০ জন, যা আক্রান্তের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ।
এদিকে, এই এক তৃতীয়াংশ মানুষ করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হলেও তাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
ইয়েলি কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার হারলান ক্রমহোলজ বলেন, এই ভাইরাস শরীরের ভেতরে বিভিন্ন অংশে হানা দেয়। ফুসফুস ও হৃদযন্ত্র থেকে নিয়ে লিভার-কিডনিতেও প্রভাব ফেলে অপ্রতিরোধ্য এই ভাইরাস। শুধু তাই নয়, করোনাভাইরাস শরীরের যেকোনও অঙ্গ-প্রতঙ্গে হামলা চালিয়ে অক্ষম করে দিতে সক্ষম।
তার মতে, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও এসব রোগী তাদের শরীরে এই ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বহন করে বেড়াবেন। এমনকি একটা সময় কারও কারও ক্ষেত্রে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও সুস্থ হওয়ার পর শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভব করতে পারেন রোগীরা। সূত্র: ডব্লিউবিইউআর, ফার্স্টপোস্ট