Saturday || April 20, 2024 Online Tech News Portal
img

পরীক্ষা চিকিত্সা ভ্যাকসিন ও কন্ট্রাক্ট ট্রেসিংয়ে গুরুত্ব দিলেন বিল গেটস

Posted on : 2020-04-27 04:41:35

News Source : ইত্তেফাক, ০৯:২১, ২৭ এপ্রিল, ২০২০

পরীক্ষা চিকিত্সা ভ্যাকসিন ও কন্ট্রাক্ট ট্রেসিংয়ে গুরুত্ব দিলেন বিল গেটস

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও মানবহিতৈষি বিল গেটস করোনা ভাইরাস মোকাবিলা এবং অর্থনীতি পুনরূদ্ধারে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ভাইরাসের পরীক্ষা, চিকিত্সা ভ্যাকসিন, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এরপর তিনি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা বলেছেন। সম্প্রতি ব্লগ পোস্টে তিনি পাঁচটি পরামর্শ তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি সিএনএনের সাংবাদিক ফরিদ জাকারিয়ার সঙ্গে আলোচনায়ও করোনা ভাইরাস মোকাবিলা এবং উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেছেন।

বিল গেটসের পাঁচ পরামর্শ

সিএনবিসি জানিয়েছে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস করোনা মোকাবিলা ও পরবর্তীতে অর্থনীতির জন্য পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত চিকিত্সা : বিল গেটস বলেছেন, অনেক চিকিত্সাই ব্যর্থ হতে পারে। তবে কোনো না কোনো চিকিত্সায় সফলতা আসবেই বলে তিনি আশাবাদী। মানুষের চিকিত্সা দরকার। কারণ ৯৫ ভাগ মানুষ প্রকাশ্যে যেমন ফুটবল খেলা ও কনসার্টে অংশ নিতে ভালবাসেন। তিনি রক্তের প্লাজমা তথা অ্যান্টিবডি, অ্যান্টিভাইরালস এবং হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারের কথাও বলেন।

দ্বিতীয়ত ভ্যাকসিন : এটাকে তিনি ‘মিরাকল ট্রিটমেন্ট’ বলে উল্লেখ করেছেন। মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ভ্যাকসিনই স্বাভাবিক উপায়। তিনি আগেই সতর্ক করেছিলেন, একটা নতুন রোগের ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পাঁচ বছর সময় লাগে। তবে এই রোগের ভাইরাস ১৮ মাসের মধ্যে আসবে বলে ধারণা। তবে দুই বছরও লাগতে পারে।

তৃতীয়ত পরীক্ষা : পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদেরও পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। উপসর্গ আছে এমন মানুষকে আগে পরীক্ষা করাতে হবে। এরপর উপসর্গ নেই এমন ব্যক্তিদের পরীক্ষা করতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করা উচিত।

চতুর্থত কন্ট্র্যাক্ট ট্রেসিং : বিল গেটসের মতে, জার্মানির কন্ট্র্যাক্ট ট্রেসিংকে অনেক দেশ অনুসরণ করছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিদের পরীক্ষা করাতে হবে এবং তাদের আইসোলেশনে রাখতে হবে। তারা সেটা যথাযথভাবে পালন করছেন কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে।

পঞ্চমত সবকিছু খুলে দেওয়া : বিল গেটস মনে করেন, উন্নত দেশগুলো আগামী দুই মাসে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ধাপে চলে যাবে। তখন পৃথিবী কিছুটা স্বাভাবিক হবে। যদিও সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এক দেশ থেকে আরেক দেশের শিক্ষা নিতে হবে। বাণিজ্যিক ঝুঁকি এবং মুনাফা দুটো দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক