Posted on : 2020-04-21 06:00:35
News Source : যুগান্তর, ২১ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আফগানিস্তানে কিশোরীদের একটি দল গাড়ির যন্ত্রাংশ দিয়ে কম খরচে ভেন্টিলেটর তৈরির চেষ্টা করছে।
তাদের এ আবিষ্কার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশটির লড়াইকে আরও গতিশীল করবে বলে আশা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। এপি।
পাঁচ সদস্যের আফগান অল গার্লস রোবট টিমের এই মেয়েদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। যদি তারা যন্ত্রটি সফলভাবে তৈরি করতে পারে এবং সরকারের অনুমোদন পায়, তবে মাত্র ৩০০ মার্কিন ডলারে সেটি বাজারে ছাড়তে পারবে বলে আশা এই কিশোরীদের। বাজারে একটি ভেন্টিলেটরের দাম প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে যেকোনো ধরনের ভেন্টিলেটর বাজারজাত করার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়।
আফগানিস্তানের একটি প্রযুক্তি কোম্পানি ওই কিশোরীদের ভেন্টিলেটর তৈরিতে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। কোম্পানিটির পরিচালক রোয়া মাহবুব বলেন, ‘দলটি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক দল বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির একটি নকশার ভিত্তিতে প্রাথমিক যন্ত্র তৈরির কাজ করছে।’
অবশ্য কিশোরীদের এই দলটির খবরের শিরোনাম হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে তারা ওয়াশিংটনে একটি রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু তাদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়? হইচই শুরু হলে খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে তারা যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিল।
ভারতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা : মুসলমানদের করোনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ না হলে ঢুকতে দেয়া হবে না। ভারতের উত্তর প্রদেশের মীরাটের এক হাসপাতালে সম্প্রতি এ বিজ্ঞাপন টানানো হয়েছে। এতে বিতর্কের সম্মুখীন হয়ে শেষ পর্যন্ত বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে ভ্যালেনটিস ক্যান্সার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনডিটিভি।
এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে। উত্তর প্রদেশের জনসংখ্যার ২০ শতাংশই মুসলমান।
করোনা টেস্ট ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে স্থানীয় এক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনটি ছেপেছিল ওই হাসপাতাল। তার পরেই বিতর্ক শুরু হয়। এমনকি অভিযোগ ওঠে, ওই হাসপাতালের হিন্দু ও জৈন রোগীদের বেশি করে দেখাশোনা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করোনা তহবিলে অনুদান দিয়েছেন তারা পাচ্ছেন বিশেষ পরিষেবা। বিতর্কের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে ওই বেসরকারি ক্যান্সার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।